ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে ক্যারিবীয়দের রেকর্ড গড়তে হবে।
অন্যদিকে ইনজুরি আক্রান্ত সাকিব আল হাসানকে ছাড়া বোলিংয়ে নেমে সফরকারীদের ঠেকানোর কঠিন লক্ষ্য থাকছে স্বাগতিকদের সামনেও।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন (শনিবার) মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ও লিটন দাশের ফিফটির ওপর ভর করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৩ রান সংগ্রহ করার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের মাটিতে ৩০০-এর বেশি লক্ষ্য নিয়ে জিততে পেরেছিল একমাত্র নিউজিল্যান্ড দল। সেটাও ২০০৮ সালের অক্টোবরের ঘটনা। সেবার বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেট হাতে রেখে জিতেছিল কিউইরা।
প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। দিনের দশম ওভারে রাকিম কর্নওয়ালের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন অভিজ্ঞ মুশফিক (১৮)। এরপর লিটনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল।
বাংলাদেশকে বিশাল লিড এনে দেওয়ার পথে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। এই সেঞ্চুরি তাকে নিয়ে গেল অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক এখন এই এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের জার্সিতে এর আগে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন তামিম ইকবাল (৯টি)। এতদিন টাইগার ওপেনারের সঙ্গে রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন মুমিনুল। এবার তামিমকেও ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। ৭ সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকার তিনে আছেন মুশফিকুর রহিম। চারে মোহাম্মদ আশরাফুল (৬) এবং পাঁচে সাকিব আল হাসান (৫)।
শুধু কি তাই, এই নিয়ে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুমিনুল। এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে ১৩২ রান করেছিলেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক। এবারের সেঞ্চুরিটি তিনি সাজিয়েছেন ৯টি বাউন্ডারিতে। বল খেলেছেন ১৭৩টি।
তবে এরইমধ্যে মুমিনুলকে ফিরতে হয়েছে সাজ ঘরে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২১৯ রান।
পাঠকের মতামত: